Business is booming.

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭’র শ্রদ্ধা

125

শোকাবহ আগস্টের নিয়মিত কর্মসূচী হিসেবে শনিবার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেছে, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-১৯৯৭। এরপর মোনাজাত শেষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার তারকা সন্তানরা।

দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ থেকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে, বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন সংগঠনের সদস্য ও নেতারা। এসময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এর আগে সকাল ৮ টায় তারা ধানমন্ডি ৩২-এ সমবেত হয়ে, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ৮.৩০ মিনিটে টুংগীপাড়ার উদ্যেশ্যে যাত্রা করেন।

টুংগীপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রধান উদ্যোক্তা মইনুল ইসলাম ভুইয়া, উপদেষ্টা সুলতান আলম মিতুল, অন্যতম উদ্যোক্তা ড. মোসাম্মত তাহমিনা বেগম ও সাইফুল আলম লিটন, প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭ এর সমন্বয়ক সালমান মাহমুদ জসিম।

এছাড়াও অন্যদের মধ্যে ছিলেন, উদ্যোক্তা নাজমা ইসলাম ডলি, জাহিদুল ইসলাম মিলন, নুরুজ্জামান ভুট্টু, তাজুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান, শাহ মোহাম্মদ হানিফ, শাহিনুর করিম বাবু, অ্যাডভোকেট নাজিমুদ্দিন, আব্দুর রৌফ আনসারী, বৌরহান কবির, এডভোকেট শামিম আহমেদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন, আনিসুর রহমান লিটন, সৈয়দ শিপুল, হাসান গাজী, অ্যাডভোকেট লুবনা ইয়াসমিন, ইঞ্জিনিয়ার আজগর আলী, সালমান হক শিবলী।

কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির (একাংশ) সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জুবায়দা হক অজন্তা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (অন্য অংশের) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশিদ মন্ডল রানা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার, শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড এর সভাপতি আনিসুজ্জামান মিয়া।

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে টুংগীপাড়ায় একটি রেস্টুরেন্টে, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সালমান মাহমুদের সার্বিক পরিচালনায়, জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের খ্যাতিমান একঝাক সন্তানদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, সংগঠক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘দ্বিধা বিভক্ত ভুলে প্রায় ১০টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তাই বর্তমান সময়ে, দ্বিধা বিভক্তি ভুলে একটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে, কিভাবে সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মিলিত হতে পারি, সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি’।

তারা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে, একটি মহা সমাবেশ করার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭ এর অন্যতম উদ্যোক্তা ড. মোসাম্মত তাহমিনা বেগম বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল-১৯৯৭ সাল থেকে এক এক করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভাই-বোনকে একত্র করে, এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন কেন দ্বিধা বিভক্ত থাকবে? সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটিই প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭। এর ছায়াতলে এসে আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্মার্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোক্তা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

প্রতিষ্ঠামঞ্চ-৯৭ এর সমন্বয়ক ও অনুষ্ঠানের পরিচালক সালমান মাহমুদ বলেন, ‘ কিছুদিনের মধ্যেই একটি বড় গেট টুগেদারের মাধ্যমে, দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, যারা অন্য সংগঠন করেছেন তাদের একত্র করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্বত রেখে কাজ করে যাবো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আবারো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সরকার গঠন যেন করা যায়, সেই লক্ষ্যে সারাদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭ এর সকল সদস্য’।

প্রতিষ্ঠা মঞ্চ-৯৭ এর অন্যতম উদ্যোক্তা সাইফুল আলম লিটন বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগে সেল গঠন করার মাধ্যমে, লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিলিত হয়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন করা হবে’। এছাড়া সুলতান আলম মিতুল বলেন, ‘এখন সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রী’র পাশে আগের ন্যায় থাকার এবং মহা সমাবেশ এর দিকে এগিয়ে যাওয়া।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.