Business is booming.

সফল হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ : সোধি

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমে ১৫০ রানের ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া বাংলাদেশ সফরে এসে সাদা পোশাকে এটি তাদের প্রথম হার।

13

তবে এই হারের পর স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করতে মুখিয়ে আছে কিউইরা। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় এমনটি জানিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপস স্পিনার ইশ সোধি।

আগামীকাল (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি। তার আগে গতকাল ভিডিও বার্তায় সোধি বলেন, ‘অবশ্যই সিলেটে প্রথম টেস্ট হেরে পরাজিত দল নিয়ে আসা কঠিন। কিন্তু টেস্ট যত এগোচ্ছিল, আমরা ছন্দ পাচ্ছিলাম। আমি অনেকদিন টেস্ট খেলি না। কাজেই এই কন্ডিশনে কাজটা কঠিন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে তারা অনেক জায়গায় আমাদের ছাড়িয়ে গেছে।’

এসময় বাংলাদেশ তাদের এই কন্ডিশনে কীভাবে জয় তুলে নিতে হবে, সেই পথ দেখিয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘এই কন্ডিশনে কীভাবে সফল হতে হয়, এর একটি পথও দেখিয়ে দিয়েছে। আশা করছি আমরা পরবর্তী ম্যাচে এটা কাজে লাগাতে পারব।’

তবে সিলেট ও ঢাকার কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় কিছুটা চিন্তায় রয়েছে কিউইরা। সিলেটের চেয়ে ঢাকার আর্দ্রতা বেশি মনে হচ্ছে সোধির কাছে। তার ধারণা, সিলেটের চেয়ে মিরপুরে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পাবেন। তাই দ্রুত এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের তৈরি করার তাগিদ দিয়েছেন এই কিউই স্পিনার।

বলেন, ‘আমরা সবে এখানে এসেছি। আমার মনে হয় এখানে আর্দ্রতা অনেক বেশি। বৃষ্টি হবে কি না, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু মনে হচ্ছে সারফেস আরেকটু নরম থাকবে। ঘাস একটু বেশি থাকতে পারে। আগামী দুদিনে আরো ভালো করে বোঝার চেষ্টা করব। এটা টার্ন করে কি করে না। এখানে আগ্রাসী হব, না রক্ষণাত্মক থাকব এটা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য মুখিয়ে আছি।’

এসময় দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে সোধি বলেন, ‘আশা করছি আমরা একটি বোলিং গ্রুপ হিসেবে একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারব। স্পিন গ্রুপ বা যাই হোক না কেন আমরা চেষ্টা করব উন্নতি করতে। আমার ধারণা, এটা (টেস্ট খেলা) আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে, কারণ আমরা লম্বা সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। যখন সবাই একত্র হবে, আপনাকে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আশা করছি শেষ ম্যাচে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারব। কিন্তু এখন আমাদের পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। শেষ ম্যাচে আমরা যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং এটা করতে পারলে শেষ ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা আশাবাদী।’

এদিকে দেশের বাহিরে দলের সঙ্গে গেল কয়েক মাস ধরেই ঘুরছেন সোধি। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ সফর, পরে ভারতে বিশ্বকাপ, সেখান থেকে আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে টেস্ট খেলতে নামা। সবকিছু মিলিয়ে ঠাসা সূচির কবলে তিনি। লম্বা এই সফর ঢাকা টেস্ট দিয়েই শেষ হতে চলেছে। তাই বিরতিতে যাওয়ার আগে ভালো কিছু অর্জন করতেই দলের খেলোয়াড়দের বাড়তি প্রেরণা পেতে দেখছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সোধি বলেন, ‘ভালোভাবে শেষ করতে পারা হবে খুব সুন্দর। আপনি জানেন, অনেক দিন ধরে আমরা ঘরের বাইরে। গত ছয় মাস বেশ সফলতা ছিল। অনেক আবেগময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। উত্থানপতন রোলার কোস্টারের মতন ছিল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া, সেখানে হারা। যে পরিমাণ সময় সবাই পরিবার ও বন্ধুদের থেকে দূরে থেকেছে, সেই অবস্থায় শক্তভাবে শেষ করতে পারা হবে দারুণ। আমার মনে হয় ছেলেরা সুপার মোটিভেটেড। এখানে বাসে করে এসেছি, আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে যে, আমরা কীভাবে এই কন্ডিশনগুলি মোকাবিলা করার চেষ্টা করব এবং এমন একটি দলের বিরুদ্ধে লড়াই করব, যা তাদের নিজস্ব কন্ডিশনে সত্যিই ভালো এবং তারা শেষ টেস্টে এটি দেখিয়েছে। তাই ছেলেরা বেশ অনুপ্রাণিত।’

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.