Business is booming.

আজ ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস।

আখাউড়া শাখার আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং আমরা ৭১ র প্রজন্ম এই দিবস টি দিনব্যাপি উদযাপন করে।

72

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:২৮

আখাাউড় থেকে: আজ ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আখাউড়া মুক্ত হয়। এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনী ঢাকায় আক্রমণ করলে সে দিন থেকেই সারা বাংলাদেশে পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরা ঘেঁষা আখাউড়া পূর্বাঞ্চলীয় প্রবেশদ্বার ৭১ রণাঙ্গনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল।
১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে আখাউড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার জন্য দেশ প্রেমিক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক নেতা কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে আখাউড়ায় গঠন করা হয় সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ। ওই পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন কাজী ওয়াহেদুর রহমান লিলু মিয়া।

এস ফোর্সের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল সফিউল্লার তত্ত্বাবধানে এ যুদ্ধ চলতে থাকে। ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর আখাউড়া উত্তরে সীমান্তবর্তী আজমপুর, রাজাপুর, সিঙ্গারবিল, মিরাশানি এলাকায় আধুনিক অস্ত্রে শস্ত্রে পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধ হয়। টানা ৩ দিন চলে এ যুদ্ধ। এ যুদ্ধ অন্তত ৩৫ পাক সেনা নিহত হয়। বন্দি করা হয় পাঁচ জনকে। মুক্তি বাহিনীর নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী খান এ সময় শহীদ হন। আহত হয় অনেক মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের মারমুখী আক্রমণে পাক বাহিনী দাঁড়াতে পারেনি। তারা তখন পিছু হটতে বাধ্য হয়।
৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনীরা আজমপুর অবস্থান নিলে সেখানেও যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১১ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর দুই সিপাহী ও এক নায়েক সুবেদার শহীদ হন। চার এবং পাঁচ ডিসেম্বর যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর প্রায় ১৭০ জন সৈন্য নিহত হয়। তখন গোটা আখাউড়া এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয়।
এদিকে আখাউড়া মুক্ত দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ৫ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় এডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
আজ রবিবার ৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সময় আখাউড়া কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সেখান থেকে পরে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রদান প্রদান সড়ক প্রদিক্ষিন করে আখাউড়া উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে এসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আখাউড়া শাখার আহবায়ক ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদিন, আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামি, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল, আখাউড়া উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতবৃন্দ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।

হাফেজ / আখাউড়া / একুশে নিউজ / এন আর

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.