Business is booming.

মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর সফলতার দুই বছর 

195
২৯ জুন/ ২০২১/ একুশে নিউজ
বিশেষ প্রতিনিধি: শাহজাদ শাদ মান্না

সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনবান্ধব মানবিক পুলিশি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠ একাগ্রতার মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন মানবিক পুলিশ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত ও পরিচিত মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার),

জনাব হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের ২২ শে এপ্রিল গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, শৈশবে মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউট থেকে তিনি স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন, তিনি ১৯৯৮ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী ১৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের পুলিশ ক্যাডারের জন্য মনোনীত হন এবং সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন এরপর বাংলাদেশ পুলিশ এর বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ পদে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ট এরপর পদোন্নতিক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (সংস্থাপন) হিসেবে পদাধীন ছিলেন, মেধা যোগ্যতা ও একাগ্রতায় সফলতার সাথে পর্যায়ক্রমে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন, বর্তমানে তিনি ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি (উপ মহাপরিদর্শক) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্বরত রয়েছেন, এর পুর্বে তিনি ঢাকাস্থ পুলিশ সদর দপ্তরে উপ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন-ডিসিপ্লিন) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজ ও অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত শ্রেনী পেশার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা ও ভূমিকা তাকে এনে দিয়েছে বিশেষ খ্যাতি, পিছিয়ে থাকা দেশের সুবিধা বঞ্চিত বেদে সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাজ ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থায়নের লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান উত্তরণ ফাউন্ডেশন, যেখানে সুবিধা বঞ্চিত বেদে পরিবার ও তাদের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে উন্নত জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে দক্ষ মানব সম্পদে রুপান্তর কিংবা একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ আত্মনির্ভরশীল পেষাজীবী কর্মী হিসেবে ভবিষ্যত পেষাদার কর্মজীবনে সম্মানজনক অবস্থান তৈরীতে সহায়ক ভুমিকার উদ্দেশৈ স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, পরিরবহন চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউস, সৌন্দর্য পরিচর্যা কেন্দ্র বিউটি পার্লার সহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, সেই সাথে বাল্য বিবাহ রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছেন, সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়াদের সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পিছিয়ে থাকা হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করার মাধ্যমে তাদের সাবলম্বী করে গড়ে তোলার দ্বার উন্মুক্ত করেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরনঘাতি নভেল করোনা ভাইরাস কোভিড – ১৯ এর প্রাদূর্ভাবের কারনে লক ডাউনে থাকা বাংলাদেশের অসহায় দরিদ্র কর্মহীন দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তার প্রতিষ্ঠান উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য ত্রান সরবরাহ সহ মানবিক সহায়তা প্রদান কাজ চলমান রেখেছেন, এর বাইরে সমাজে নিগৃহীত সুবিধাবঞ্চিত দৌলতিয়া পতিতাপল্লীর যৌনকর্মীদের মাঝেও তার বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে, একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ডিআইজি হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় প্রথম প্রতিরোধের ঘটনা নিয়ে “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামে একটি গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের আসরে ‘এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে প্রশংসনীয় ও কৃতিত্বপূর্ন কাজ, সেবা, সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ যাবত বিভিন্ন আয়োজনে তিনি তিন বার বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” ও দুইবার “রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)” অর্জন করেন। এছাড়াও তার উদ্যোগে ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় রাজধানী ঢাকাস্থ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবতীতে ২০১৩ সালের ২৪ শে মার্চ সর্ব সাধারনের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চলমান করোনা পরিস্থিতির প্রারম্ভিক সময়ের ২০১৯ সালের ২৪শে মে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে পদায়িত হয়ে কঠিন বাস্তব এক প্রতিকূল সময়ে তিনি এই গুরু দায়িত্ব গ্রহন করেন। মেধা, দক্ষতা, নিরলস শ্রম আর একনিষ্ঠ পেষাদার দায়িত্ব পালনের এক আনন্য সমন্বয়ে তার নানা উদ্যেগের কারনে বদলে যেতে থাকে ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলার ৯৬ টি থানার পুলিশি সেবার কার্যক্রম, অভাবনীয় সাফল্য আসতে থাকে সেগুনবাগিচাস্থ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রনাধীন সেল থেকে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষনের সাহায্যে সকল জেলা ও থানা কার্যালয় গুলোতে তদারকির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দ্রুততার সাথে কর্মচাঞ্চল্য ও গতি ফিরে আসে জনবান্ধব সেবা ও সহায়তা প্রত্যাশী জন সম্পৃক্ত সেবা মূলক পুলিশি কর্মকান্ডে।
ঢাকা রেঞ্জের পুলিশি সেবার এই অভাবনীয় সফলতার কৃতিত্ব সুযোগ ও সহযোগিতার কারন হিসেবে তিনি সর্বদা মাননীয় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), মহোদয়ের নাম উল্লেখ করেন, যার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরন করেন। সেই সাথে তিনি রাষ্টের ও জনগণের একজন নিবেদিত একনিষ্ঠ সেবক হয়ে একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে তার অধীনস্ত সকল সদস্যদের অনুপ্রানিত করে চলেছেন। নিজের জীবন ও পরিবারে কথা চিন্তা না করে একমাত্র শিশু সন্তান ও পরিবার থেকে নিজেকে সঙ্গরোধ রেখে নিজ কার্যালয়ে থেকে এই বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালিন সময় দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন, এমনকি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও হাসপাাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধস্থন সদস্যদের চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহযোগিতা সহ পেষাদার দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করে গেছেন, প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা প্রদান, নিবিড় পর্যবেক্ষন সহ সার্বক্ষনিক তত্বাবধান এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জয়ী জাতীয় কাবাডি দলকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি। এমন মানব জনম যেমন জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করে সেই সাথে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের মত মানবিক সরকারী কর্মকর্তা যেন দেশের প্রতিটি সেবামূলক সরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মপ্রচেষ্ঠায় অনন্য বিরল অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এটিই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.