Business is booming.

সিনিয়র অফিসার পালাতে বলেছিলো আকবরকে: এসআই আকবরের ভিডিও ভাইরাল

59

অনলাইন ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর, ২০২০ |

খাসিয়াদের হাতে আটকের সময় আকবর হোসেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রায়হান আহমদ হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ভারতে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক কর্মকর্তা।

সোমবার সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের কাছে আটকের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা বলেন তিনি।

এসআই আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আকবর হোসেনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এসময় আকবর বলছিলেন তিনি রায়হান হত্যার সঙ্গে একা জড়িত নন।

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে আকবর বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করে একা মারিনি। তাকে মারছিলো ৫-৬ জন। এজন্য মরে গেছে ভাই।’

স্থানীয় একজনের জিজ্ঞাসাবাদে আকবর বলেন, ‘সে (রায়হান) ছিনতাই করেছিলো। টাকা ছিনতাই।’

এসময় স্থানীয় অপর একজন বলেন, ‘আর তার জান তোমরা ছিনতাই করেছ?’

উত্তরে আকবর বলেন, ‘ভাই, আমরা জান নেইনি, বরং আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়েছি। পাবলিক মারছিলো, আমারা হাসপাতালে নিয়েছি। ওইখানে সে মারা গিয়েছিলো।’

তাহলে কেন পালাচ্ছিলেন এর উত্তরে এসআই আকবর বলেন, ‘আমি ভাইগা আসছি এ জন্য যে, আমাকে বলছে যে, সাসপেন্ড করা হয়েছে। অ্যারেস্ট করা হতে পারে। দুই মাস পর ঠাণ্ডা হলে এইটা আবার হ্যান্ডেল করা যাবে। আমি অন্য কোনো কারণে ভাগি নাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে এক সিনিয়র অফিসার বলেছিলো, তুমি আপাতত চলে যাও, কয়দিন পরে আইসো। এটা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’

ভারতে কেন পালিয়ে যাচ্ছিলেন- এর উত্তরে আকবর বলেন, ‘ইন্ডিয়ার এক পরিবার আমাকে বলেছিলো যে তুমি মাঝেরগাও থাকো।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আকবরকে জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। পালিয়ে থাকার ২৮ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন। তাকে সিলেট পুলিশের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.