Business is booming.

শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন আসছে

88

প্রাণঘাতী করোনার ছোবলে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে চার লাখ ৫৭ হাজার  ২৬৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে একমাত্র ভ্যাকসিনই ভরসা। কবে আসবে সেই কাক্সিক্ষত ভ্যাকসিন।

সেই সুখবরের প্রত্যাশায় বিশ্ব।  তবে আশার কথা শোনাল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি আশা প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে  বলেছেন, বিশ্ব শিগগির করোনাভাইরাসের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মহামারির অবসান ঘটবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ আখ্যা দিয়ে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মহামারীর অবসান ঘটবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ আখ্যা দিয়ে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।

সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানটি যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো যে এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেখানে লকডাউনের প্রয়োজন আছে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক ফাউচি বলেন, ‘আমার মনে হয় না,  লকডাউনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলার কিছু আছে।’

বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সার্স-কভিড-২ ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টাকে ‘মুনশট’ আখ্যা দিয়েছেন। তাদের যুক্তি করোনাভাইরাসের জন্য সফল টিকা কখনো তৈরি হয়নি। এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টার পরও এইচআইভির কোনো টিকা পাওয়া যায়নি। তবে ফাউচি বলছেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার সঙ্গে এইচআইভির টিকার তুলনা করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, কারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধী ক্ষমতা ভাইরাসটিকে পরাস্ত করতে পেরেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতি আপনার কাছে প্রমাণ হাজির করেছে যে এটি দূর করা সম্ভব।’

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.