Business is booming.

অশ্রদ্ধা করছেন যা কিছুটা আইনের ব্যত্যয়ও বটে – এডিসি নাজমুল

64

বাস্তবে অনেকেই অনেকের উপর জেলাস, হিংসা, বিবেদ আর নানা সমস্যা নিয়ে থাকতেন বর্তমানের সোস্যাল মিডিয়াতেও মানুষের মননে ধীরে ধীরে তেমন মানুষিকতা তৈরী হচ্ছে!

কারও কোন নীতিবাচক বক্তব্য না থাকলেও সবাই নিজেকে তুলে ধরছেন কাউকে উপহাস করে। তাতে করে সমাজের যেমন অবক্ষয় হচ্ছে যেমন, তেমনই যে লোকটিকে নিয়ে উপহাস করছে তাকে নিয়ে অন্যদের কিন্তু মানুষের খুব বাজে ধারণা তৈরী হচ্ছে।

অন্যদিকে বিশিষ্ট গুনিজন আর বড় বড় বোদ্ধারা বলেই গেছেন, ‘আমরা বাঙ্গালীরা সবাই নিজের জায়গা থেকে কেউ কিন্তু সুখি না! কিন্তু সোস্যাল মিডিয়াতে নিজের মুখোশ আড়াল করে নিজেকে অনেক উচ্চ শিখড়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি!! কিন্তু সেটি কেন?’

সোস্যাল মিডিয়া আর নিজের স্বাধীনতা নিয়ে সাইবার ক্রাইম ডিবিশনের হেড নাজমুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনদেশে বাস করে আমরা দেশের স্বাধীনতা নষ্ট করছি। নিজেকে অপরাধের সাথে জড়িয়ে ফেলছি। তারা হয়তো জানেন না, সোস্যাল মিডিয়াতে কাউকে নিয়ে কোন বাজে উক্তি করা কিংবা কাউকে নিয়ে বাজে কোন মন্তব্য কমেন্ট করা সাইবার ক্রাইমের আওতাধীন। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হল ৫ লক্ষ টাকা জড়িমানা আর ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এগুলি জানার পরেও কেন বাংলাদেশের মানুষ সাইবার ক্রাইমের আওতায় জড়িয়ে পরছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবেও অনেকেই অনেকের পেছনে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করেন। দিনশেষে কিন্তু সেটি সবাই যেনে ফেলছেন। তাতে করে হবে কি ওই লোকটির পিছনে খারাপ হয়ে যাবে। এই বিষয়গুলি আমাদের সব থেকে আগে পরিহার করা উচিত। এখনও সময় আছে তাদেরকে সুদরানো উচিত।’

এছাড়াও তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যতোগুলি রাষ্ট্র আছে সব থেকে স্বাধীন মানুষ হল আমাদের বাংলাদেশের মানুষ। তাহলে এই স্বাধীনতার অবক্ষয় করে কেন আমরা নিজেকে অযথা জাহির করছি। তাকে কি আমাদের দেশের ভাবমূর্তি বাড়ছে? বাড়ছে বরং তা কমছে। হয়তাে মানুষের কোন পজেটিভ প্রসাংশা করা হবে কিংবা তাকে যতো উৎসাহিত করা হবে। তখন সে নিজে থেকেই নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করবে। তাতে করে সে নিজেই নিজেই ভুল সুধরানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আমরা তা মানছি না! কিন্তু সেটি কেন??’

অন্যদিকে তিনি নিজের ফেসবুকে ডঃ মাহফুজকে নিয়ে একটি যৌক্তিক পোস্ট দিয়ে লিখেন, ‘ডঃ মাহফুজ গান গাইছেন, সেটা মনের আনন্দেই হোক বা পেশাদার আচরণের অংশ হিসেবেই হোক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তার এই প্রচেষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাই।’

বাংলাদেশে অনেক টিভি চ্যানেল আছে, আপনার সেই লিবার্টি আছে যে, আপনি তার গান পছন্দ করছেন না তবে অন্য চ্যানেল দেখুন। ডঃ মাহফুজ সাহেবের নিজস্ব ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধ ও গান গাওয়ার স্বাধীনতা আছে।

আপনি অবশ্যই ভুলে গেছেন, আপনি তাকে ট্রল করে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা কে অশ্রদ্ধা করছেন যা কিছুটা আইনের ব্যত্যয়ও বটে। তামান দুনিয়ার কোথাও মানুষ এতোটা প্রতিক্রিয়াশীল নয় ভাইবোনগণ।

হয়তো অনেকে বলবেন সমালোচনা করা যাবে কিনা। অবশ্যই যাবে, সমালোচনা করতে পারা সাংবিধানিক অধিকার, মতামত প্রকাশ করতেই পারেন, সেটা অবশ্যই শালীনতার সহিত। কিন্তু ট্রল একটা অন্যায় কাজ।

Compassion, modesty আর forgiveness না থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.৬ বানালেও মননের বিকাশের হার নিম্নমুখী হবেই।’

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.