Business is booming.

প্রধানমন্ত্রী নাশকতাকারীদের কোনো ক্ষমা নেই

13

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নাশকতা করছে, তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই। তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। গতকাল গণভবনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

হরতাল-অবরোধের মধ্যে গাজীপুরে রেললাইন উপড়ে ফেলায় ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার কল্পনা করে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে- এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ বলে কিছু নেই। এটা জনগণকে প্রতিহত করতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান সারা দেশের মানুষের প্রতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারসহ, গ্যাস কাটার মেশিন দিয়ে এই রেললাইন কেটেছে। ওটা ফেলে চলে গেছে। ওটা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না এই আন্দোলন করে কি পাবে তারা। বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। মানুষ হত্যা করে তারা সরকার উৎখাত করতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো হাওয়া ভবন নেই। কাউকে পাওনা দিয়ে ব্যবসা নিতে হয় না। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারেন। অন্তত এইটুকু সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে।

এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের আগস্টে নির্বাচিত ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য নতুন কমিটি এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, এফবিসিসিআইর পরিচালকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেজ সালাস। গণভবনে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘তাদেরকে (স্পেনের উদ্যোক্তারা) স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের যে কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। স্পেনের কাছ থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক হওয়ার পরও জিএসপি সুবিধা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বিশেষ করে সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ও নারী উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশের নজিরবিহীন উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের ক্ষমতায়ন করতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু, আমরা তা কাটিয়ে উঠেছি।’

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.