Business is booming.

জীবন ও জনমুখী এক মানবিক শিক্ষায় ঋদ্ধ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।

49

তিতাস পাড়ে জন্ম বলেই কথা। নদীর সাথে বেড়ে উঠা আর নদীর মতোই বয়ে চলা মানুষের জন্য মানুষের পানে। কখনো থামতে শেখেননি তিনি। বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ। তার আত্মজা তো তার মতোই হবেন। নির্লোভ নির্মোহ জীবনের অধিকারী আর চিন্তা এবং চেতনায় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তো তার বাবার মতোই হবেন-অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন, প্রতিবাদী, মানবিকতার দিক থেকে অনন্য উচ্চতার অধিকারী। তিনি তোর তার বাবার মতোই থামবেন না। কারণ যে মানুষ বীরু কাপুরুষের মতো বাঁচতে শিখে নি সে মানুষ কী করে শিখবে ভয়কে সঙ্গী করে একলা নিরব পথ চলা! সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক হিসেবে ইতোমধ্যেই নরসিংদীর মাটি ও মানুষের প্রত্যাশাকে পূরণ করেছেন অনন্য দক্ষতায় আর সীমাহীন ভালোবাসায়। একজন নারী হিসেবে নিজেকে কতটুকু ছাড়িয়ে যাওয়া যায় তা তিনি তার নিজের মুন্সিয়ানায় দেখিয়েছেন। ব্যস্ত জীবনের কপাট খুললেই তার সামনে চলে আসে শ্রেষ্ঠ ইউএনও, শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক, জনপ্রশাসন পুরস্কার আর এমন অজ¯্র উপমা। কিন্তু তিনি কী চান? অথবা তিনি যা পেয়েছেন তাতেই কী সব আছে? তিনি হাসতে ভালোবাসেন আর তাই হাসতে হাসতেই বলেন, মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চাই না। যারা তার এগিয়ে চলায় হিংসা করেন কিংবা কখনো কখনো মনে করেন তাকে ছাড়িয়ে যাবেন তারা বুঝতেই পারেন না তার মূল শক্তি মানুষের ভালোবাসা। তিনি তার শক্তি হিসেবে তার চিন্তার স্বচ্ছতাকেই প্রাধান্য দেন। জীবনকে মনে করেন ক্ষণস্থায়ী আর কাজকে চিরস্থায়ী হিসেবে বলতে ভালোবাসেন। আর সেই বলতে বলতেই তাকে চলতে হয় গ্রাম থেকে শহরে দেশ থেকে বিদেশে। তাকে ছাড়িয়ে যেতে হয় শৈশব থেকে কিশোর তারুণ্য থেকে যৌবন। তাকে ছাড়িয়ে যেতে হয় নিজের মধ্য থেকে নিজেকে। তাকে খুঁজে পেতে হয় সবার মধ্যে একজন সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে। তাকে সবার সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন হতে হয়। কারণ তিনি নরসিংদীর জেলা প্রশাসক হিসেবেই শুধু নয় নরসিংদীর একজন অভিভাবক হিসেবে ঋদ্ধ হচ্ছেন প্রত্যহ। বিকেলের রংধনুময় আকাশে কখনো তাকিয়ে তাকিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করেন আমি যা করছি তা কী ঠিক করছি? আমি কী আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছি? আর নরসিংদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষরাও হারানো পাবলিক ইন্সটিটিউট ফিরে পাওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন। তারা যেনো মিছিলের মতো কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চায় ভালোবাসার পথ চলায় এবারও আপনি বিজয়ী। আপনি তো মা! জেলা প্রশাসক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে পারফেক্ট জায়গায় বসিয়ে দেশের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.