Business is booming.

আইজিপি ড.বেনজির আহমেদের উদ্যোগে ও ডিআইজি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চালু হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র “ওয়েসিস”

173
ঢাকা :একুশে নিউজ / ৯ সেপ্টেম্বর /২০২১
রিপোর্ট : শাহজাদ শাদ মান্না

ডিআইজি হাবিবুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানটির এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা। 

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে এবার পরিচালিত হবে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রিভারভিউ প্রকল্পে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ওয়েসিস’ নামের এই মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। রোগী ভর্তির প্রস্তুতিও চলছে।

সম্পূর্ণ অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে। এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অত্যাধুনিক এই মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের অন্যতম চমক হচ্ছে গ্যাস ক্রমোটোগ্রাফি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট। এই মেশিনের মাধ্যমে রক্ত ও প্রস্রাব ছাড়া চুল থেকেও ডোপ টেস্ট করা যাবে। তিন মাস আগে কেউ মাদক সেবন করে থাকলেও তা ধরা পড়বে।

দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক এই মেশিনটি স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে শতভাগ নির্ভুল রোগ নির্ণয়ের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সাত তলাবিশিষ্ট আধুনিক এই মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র খোলা থাকবে দিবা রাত্রি ২৪ ঘণ্টা।

উল্লেখ্য হতাশা, উত্তেজনা ও মানসিক অবসাদ থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে প্রায়ই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ওয়েসিস মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের রুমগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কেউ চেষ্টা করলেও আত্মহত্যা করার সুযোগ পাবে না। কারণ এই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রটির কোনো রুমে সিলিংফ্যান নেই। কক্ষ গুলোর তাপমাত্রা ও উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে আত্মহত্যার মত অনাকাংখিত কোনো অপমৃত্যু ঘটার সম্ভবনা নেই। এ প্রতিষ্ঠানের ছাদে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ বাগান, যেখানে রোগীরা বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইয়োগা ও মেডিটেশন করতে পারবে। এছাড়া রয়েছে ব্যায়ামাগার, চিত্ত বিনোদনের জন্য ইনডোর গেমস সহ পাঠাগারের বিশেষ ব্যবস্থা ।

আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হবে। একদল দক্ষ কর্মী বাহিনী এবং টেকনিশিয়ান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ কেন্দ্রটি।

যেখানে তুলনামূলক কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

 

পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের প্রচেষ্টায় নির্মিত ওয়েসিস মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি চলবে বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম বার, পিপিএম বার, এর তত্ত্বাবধানে।

পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ সুপার (এসপি) ডা. এস এম শহীদুল ইসলাম।

এর পাশাপাশি শ্রীঘ্রই মানিকগঞ্জে নির্মাণ করা হবে উন্নত চিকিৎসা সেবা ও সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একই মানের ৩০০ বেডের হাসপাতাল।

শুধুমাত্র সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে ৩৬ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। তবে সরকারি ও বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের ৮০ লাখ মানুষ মাদকে আসক্ত।

মাদকাসক্তদের সরকারিভাবে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা খুবই সীমিত। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধীনে তেজগাঁও মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বেড আছে ১২৪টি। পাবনায় মানসিক হাসপাতালে মাদকাসক্তদের জন্য বেড আছে ২৫টি। শ্যামলীর মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বেড আছে ২০০টি।

এর মধ্যে মাদকাসক্তদের জন্য বরাদ্দ আছে ৫০টি বেড। সব মিলিয়ে মোট বেড আছে ২৪৯টি। যদিও কোনো কোনো মহল মাদকাসক্তকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিকদের মতে, এটি একটি রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা গেলে এই রোগে আক্রান্ত কিংবা আসক্ত রোগীকে মুক্ত করে একটি সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এন আর / একুশে নিউজ / ২০২১

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.