Business is booming.

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর উদ্যোগে ধর্ষণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

222

১০,১০,২০২০ শনিবার/ একুশে নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা :ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিশেষ আইন ও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান বক্তারা।

দেশের সকল সেক্টর তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল ধর্ষকের বিচারের দাবি এবং ধর্ষকদের বাঁচাতে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের  সভাপতি হুমায়ুন কবির এই  সভাপতিত্বে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণকারীর কোন দল বা গোষ্ঠি নেই। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা ধর্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, নোয়াখালি, বরিশাল সহ  দেশের যেকোন স্থানে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক যুগ্ন মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে বলেন জাতির পিতার ডাকে সারা দিয়ে ১৯৭১ এ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এই দেশ মানচিত্র এনেছি  মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক কষ্টের অর্জন প্রিয় বাংলাদেশ কিন্তু আজ এসে যখন দেখছি আমাদের সন্তান তুল্য মেয়েদেরকে পাশবিক নির্যাতন এবং ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের প্রতি ঘৃনা ছুরে দিচ্ছি তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাস্থি নিশিত করা হোক এবং দেশের বিরুদ্ধে যারা স্বরযন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছে আমাদের অভিভাবক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের নয়নমণি বঙবন্ধুর কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ছবি পুরানোয় ঘটনায় যারা জরিত তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক। ইদানিং যে ঘটনা গুলো ঘটছে স্বরযন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এই জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রজন্ম কে ঐক্যবদ্ধ  হয়ে আরো শক্তিশালী হতে হবে আমরা যারা বেচে আছি তারা যেন দেখে যেতে পারি সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা হাল ধরেছে এইবার আর কেও সাহস করবেনা প্রতিটি স্থানে মনিটরিং মাধ্যমে দেশকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে এবং তা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দিয়েই সম্ভব। ধর্ষণ এর সর্বোচ্চ সাজা ফাসি ঘোষনা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

 

সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন আজ সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এসে হাজির হয়েছেন এবং এই ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গরে তুলেছেন আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকব জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্রকারিদের রুখে দারাতে হবে। এবং প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে যেন কেও কোন বিষয় নিয়ে রাজনিতি না করতে পারে এই জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংগঠন এর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার সালমান মাহমুদ বক্তব্যে বলেন আজ কোভিট ১৯ ভয়াবহতা রেখে ধর্ষণ বেড়ে চলেছে এইটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা আমরা অচিরেই সারাবাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রজন্ম  ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী হয়ে পরেছে, সকল ধর্ষকদের জরুরী ভাবে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী দ্রুত বাস্থবায়ন করে শাস্থি দাবি করছি।

আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল সাবেক নেতৃ বৃন্দ ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক রা বক্তব্য রাখেন

 

ধর্ষন  বিচারের  দাবিতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদের নামে বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এতে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার চেয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রই বেশী দৃশ্যমান। তাদের এই অপচেষ্টার ফলে ধর্ষণের শিকার মা-বোনেরা সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি থাকার পরেও যারা তাঁর ছবি পোড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারক মুজিবকোট পোড়ানোর মত ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এবং সরকার প্রধানের নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক আশারাফুল ইসলাম নয়ন

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে একটি প্রতিবাদ র‍্যালী বের হয়ে হাইকোর্ট এলাকা প্রদক্ষিন করে প্রেসক্লাব এর সামনে এসে শেষ হয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.