Business is booming.

অঙ্কিতা সঙ্গে থাকলে সুশান্তের এই পরিণতি হতো না’

59

সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সুশান্তের পরিবারের পর কেউ যদি তাঁকে সবথেকে বেশি জানত, সেটা আপনি। তবে কেন ৪৬ দিন চুপ ছিলেন? উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, একটা সময় ছিল সুশান্ত আমি এবং আমাদের দুজনের পরিবার সকলেই একসঙ্গে কাটিয়েছি। তবে এই আঘাত থেকে বের হতে আমার সময় লেগেছে। তারপর আমি ঠিক করি সুশান্তকে ন্যায় বিচার দেওয়ানো আমার কর্তব্য।সুশান্তের সঙ্গে, ওর জীবনের সঙ্গে থাকতেন আপনি কি ওকে বাঁচাতে পারতেন বলে মনে হয়? অঙ্কিতা বলেন, আমি সুশান্তের ভালো-মন্দ, ভালো লাগা-খারাপলাগা সবটাই জানি। আমার সঙ্গে থাকার সময় দেখেছি, সুশান্ত গিটার বাজাত, নাচ করত, ও ওর নিজের খুশি মতো সবকিছু করেছে, ভালোভাবে বেঁচেছে। ওর যা ভালো লাগে, আমি ওকে করতে দিয়েছি। যদি সত্যিই আমি ওকে আটকাতে পারতাম..। আমি ওকে ভালো রাখার সবরকম চেষ্টা করতাম। (চোখ ছলছল) আমি সবরকম ভাবে চেষ্টা করতাম। আমার এখনও মনে হয় যদি আমরা একসঙ্গে থাকতাম। আমার মনে হয় ও আনন্দে থাকত।’

সুশান্তের পরিবারের ঠিক পরিস্থিতি? এই প্রশ্নের উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, ও চলে গেছে, কে আর কী বলতে পারে? কেউ তাঁদের ভাইকে হারালো, কেউ ছেলেকে। সুশান্ত ওর পরিবারের কাছে রাজকুমার ছিল।

সুশান্তের পরিবার রিয়া সম্পর্কে অভিযোগ এনেছে, সেবিষয়ে কী বলবেন? অঙ্কিতার কথায়, আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। ও আনন্দে ছিল, এটা ভেবে আমার ভালো লাগত। তবে গত বছর আমি অনুভব করেছিলাম, যে ও ভালো নেই। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় হয়ত আমায় কিছু বোঝাতে চাইছিল। তবে সেভাবে জোর দিইনি, ভেবেছিলাম, ও তো ভালোই আছে। আসলে বিচ্ছেদের পর থেকে সামনাসামনি আমাদের আর দেখা হয়নি। তাই ঠিক বুঝতে পারিনি। কিন্তু ওর সেই হাসিটা আর দেখতে পেলাম না। আসলে ওর পরিবারের সঙ্গেও ওর ঠিকভাবে কথা হচ্ছিল না, এমনকি ওর বন্ধু মহেশ শেঠির সঙ্গেও না ও আমাদের কমন ফ্রেন্ড ছিল।

এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, আমি যতদূর জেনেছি, যে মুম্বাই পুলিশ এখনও এফআইআর করেনি। বিহার পুলিশে বাবা এফআইআর করেছে। উনি যখন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভেবেই নিয়েছেন।

জিনিউজ, ডিএনএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.