Business is booming.

ঈদে পশুর হাট বসলে সর্বনাশ হবে

64

দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। চলতি জুন মাসে তা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এর জন্য গত ঈদে মানুষের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাওয়াও অনেকাংশে দায়ী। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে ঈদটা যে যেখানে ছিল সেখানেই উদযাপন করা দরকার ছিল। সামনে কোরবানির ঈদ।

এই ঈদকে কেন্দ্র করে এখানে-সেখানে পশুর হাট বসলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। মঙ্গলবার কথাগুলো বলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ অন্য দেশের মতো দ্রুত ব্যাপকহারে বাড়ছে না। বিভিন্ন দেশে যেমন দুয়েক মাসে দ্রুত বৃদ্ধির পর হঠাৎ থমকে গেছে, বাংলাদেশে তেমন নয়। বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আমরা সময় পেয়েছি কিন্তু বাধা দিতে যে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দরকার ছিল তা আমরা পারিনি। চীনা বিশেষজ্ঞ দল তো বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে দিয়েছে, এখানে সমস্যা চিকিৎসায় নয়, সমস্যা অদক্ষতায়। এরই মধ্যে এই করোনাকে কেন্দ্র করে আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ফেলেছি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সংক্রমণ, মৃত্যু সবই বাড়ছে।

এখন একটা ভুল পদক্ষেপ অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনবে। ডা. লেলিন বলেন, এখন সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে লকডাউন করা হচ্ছে। এই জোনিং করাটা ঠিক আছে কিন্তু একটু ভিন্নভাবে করতে হবে। লাল বৃত্ত থাকবে, কিন্তু বড় বৃত্তের মধ্যে ছোট বৃত্ত করতে হবে। অর্থাৎ, অধিক সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করে তার মধ্যে আরও অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোকে পৃথক করে লকডাউন করতে হবে। আর শুধু আটকালেই হবে না, সেই এলাকার সব মানুষের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় শুধু জোনিং ও লকডাউন করলে কোনো কাজ হবে না।

পূর্ব রাজাবাজারকে লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ভিতর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু, ভিতরে সবাই ঠিকই ঘোরাফেরা করছে। ওই এলাকার সব মানুষ তো আক্রান্ত নয়। এভাবে ভিতরে ঘোরাঘুরি করলে তো সেখানকার অন্য মানুষও আক্রান্ত হবে। কিছু অনাকাক্সিক্ষত বিষয়ও ঘটছে। রেডজোন চিহ্নিত করে এমন এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে যেখাানকার সব বা অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে গেছে। শ্রীমঙ্গলে এমনটা ঘটেছে। অর্থাৎ, ১৪-১৫ দিন আগের তথ্য নিয়ে রেডজোন ও লকডাউন করা হচ্ছে। এমন হলে সমস্যা সমাধান হবে কীভাবে? রিয়েলটাইম ডাটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.