Business is booming.

মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নির্দেশনা

খবর বিবিসি বাংলার

42

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগে জানিয়েছিল যে, সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তবে এবার মাস্ক পরা নিয়ে নিজেদের উপদেশ পরিবর্তন করেছে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা উচিত। সংস্থাটি বলছে, নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, মাস্ক পরলে জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে, সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। করোনার টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন, যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব এলাকার মানুষকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ কী?
সংস্থাটি বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে চালানো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডা. ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।’ পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, শুধু মাস্ক পরলেই হবে না; সুরক্ষিত থাকতে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেন, মাস্ক কখনও আপনাকে করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখবে না।

নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সংক্রমণের বিষয়ে নতুন তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে। তারা বলছে, সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে এসেছে, উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েক দিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণিত হতে পারে। আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। তাদের ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা। কাজেই যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়, যেমন-গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট, সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.